১৪৪৩ হিজরি সনে ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল, শনিবার সকাল ১১ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামি শরীয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়।
উন্নতমানের আটা বা গম দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭৫/- টাকা প্রদান করতে হবে।
যব দ্বারা আদায় করলে এক সা বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩০০/-
কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৪২০/-
খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৬৫০/-
পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৩১০/- ফিতরা প্রদান করতে হবে।
দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা/গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতু ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযা স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
Leave a Reply