সমকালীন একজন মহান
হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ, এর ভাতিজা আল্লামা ফারুক আহমদ দা,বা, (হাজী সাহেব হুজুর)। আজ শুক্রবার মেয়ের হার্টের সুস্থতার জন্য দোয়া নিতে হুজুরের নিকট যাই।
হুজুর অসুস্থতার বিবরণ শুনে নাম জিজ্ঞেস করলেন। আমি নাম বলার পর তিনি অনেকক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে বললেন, রুমাইসা রাযি এর নামের পর্যালোচনা করুন। আরবিতে رمص শব্দ থেকে রুমাইসা নির্গত, যার অর্থ: চোখের কেতর বা পানি।
তিনি বললেন, কোন নামের ভালো- মন্দ দুইটি অর্থ থাকলে সেটা না রাখাই উত্তম। তাছাড়া হজরত রুমাইসা রাযি, ব্যক্তিগত জীবনে প্রথম দিকে বিধবা হয়ে যান,এবং শেষে তার একটি ছেলেও শিশু অবস্থায় মারা যায়।
তাই আপনি নাম পরিবর্তন করে রাহিমা রাখুন।
মানুষের মন-মানসিকতা ও স্বভাবের ওপরও নামের প্রভাব পড়ে। নাম সুন্দর হলে মানুষের ব্যক্তিচরিত্রও সুন্দর হয়। নাম খারাপ হলে এই খারাপের প্রভাব তার জীবনাচারেও পড়ে।
নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি কয়েকটি ঘটনাও শুনালেন এবং এটাও বললেন, যাদেরকে নাম পরিবর্তন করার কথা বলেছি,যারা শুনেছে তাদের উপকার হয়েছে, যারা শুনেনি, তাদের দুর্যোগ লেগেই থাকত।
হজরত বললেন, আমার শশুরের নাম শামসুল আলম ( অর্থ : পৃথিবীর সূর্য) আমি বললাম, আপনি ‘আলম’ বাদ দিয়ে ‘হক’ (সত্যের সূর্য,) রাখুন। কিন্তু তিনি জানালেন, আমার মা-বাবা এই নাম রেখেছেন বিধায় পরিবর্তন করতে পারবো না। কিন্তু দুর্যোগ লেগেই থাকতো।
নবিজীও নাম পরিবর্তন করে দিতেন,
হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল হুমাইদ বিন শায়বা বলেন, ‘আমি হজরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব (রহ.)-এর কাছে বসা ছিলাম। তিনি তখন বললেন, আমার দাদা ‘হাযান’ একবার নবীজির দরবারে উপস্থিত হলেন। নবীজি (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? দাদা বললেন, আমার নাম হাযান। (হাযান অর্থ শক্তভূমি) নবীজি (সা.) বললেন, না, তুমি হচ্ছ ‘সাহল’ (অর্থাৎ তোমার নাম হাযানের পরিবর্তে সাহল রাখ; সাহল অর্থ, নরম জমিন।) দাদা বললেন, আমার বাবা আমার যে নাম রেখেছেন আমি তা পরিবর্তন করব না। সাইদ ইবনুল মুসাইয়েব (রহ.) বলেন, এর ফল এই হলো যে, এরপর থেকে আমাদের বংশের লোকদের মেযাজে রুঢ়তা ও কর্কশভাব রয়ে গেল।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৬১৯৩)
হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর রা.-এর এক মেয়ের নাম ছিল আছিয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম পরিবর্তন করে রাখলেন জামীলা। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৩৯)
কারণ, আছিয়া শব্দের একটি অর্থ, নাফরমান, অবাধ্যচারিনী। এ নামের মধ্যে আল্লাহ তাআলার অবাধ্যাচরণের ইঙ্গিত রয়েছে। তাই কোনো মুসলমানের জন্য এ ধরনের নাম রাখা উচিত নয়।
তাই আজ থেকে ছোট মেয়ের নাম রাহিমা। (রাহিমা অর্থ : দয়াশীল)।
#লেখক: শিক্ষক, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া আশরাফাবাদ কামরাঙ্গীরচর ঢাকা।
………………………………….
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সংবাদ প্রচার নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রেখে কাজ করছে একঝাঁক সংবাদকর্মী। সত্য-সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ যে কোন সংবাদ জানতে- জানাতে নিয়মিত লগইন করুন Sunnah24.com
আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ যে কোন সংবাদ প্রচারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
শুভেচ্ছান্তে-
আ ফ ম আকরাম হুসাইন
সম্পাদক, সুন্নাহ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Leave a Reply