অধিকৃত জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলী পুলিশের হামলায় দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি মুসলিম আহত এবং চলতি রমযানেই ১৪ জন মুসলিম হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। তিনি বলেন ফিলিস্তিন, ভারত, চীনসহ দেশে দেশে মুসলমানদের উপর নির্বিচারে জুলুম চলছে। তাদেরকে শারীরিক মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের ধর্মকর্ম পালনে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা দীক্ষা সহ সকল নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদের বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জালিয়ে দেয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম নিপীড়নের খবর মিডিয়ায় প্রচার হলেও মানবতার দাবিদার শান্তিকামি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বরাবরই নিরব ভুমিকা পালন করছে। আজ মুসলমানদের পক্ষে কথা বলার কেউই নেই।
আজ ১৪ রমযান রোজ শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক ও কামরাঙ্গীরচর থানা সেক্রেটারী মফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন সঞ্চালিত ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নুমুন্সি, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী ,মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়জী, হাজী জালালুদ্দিন বকুল,মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন বৃহত গনতন্ত্রের দেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মুসলিম নিপীড়নের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্রমোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতকে মুসলিম শূন্য করার চক্রান্ত জোরদার হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায় গরু কোরবানি করা,নামাজ পড়া, মুসলিম নারীরা তাদের ইজ্জত আবরু রক্ষা করার জন্য বোরকা বা হিজাব পরতে পারছনা। একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন মেনে নয়া যায়না। মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দ কে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে রোজাদার ছাত্রীদের নামাজের ঘরে কারা তালা লাগিয়েছে তার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply