1. admin@sunnah24.com : admin : Akram Hussain
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিশ্বময় প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ প্রচার আমাদের উদ্দেশ্য ও স্বপ্ন। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার।
প্রধান খবর :
যাকাত না দিলে ক্ষতি আছে কি? মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন যাকাত কি রমজান মাসেই দিতে হবে? কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দিলে সরকার ও দেশের জন্য ভালো হবে মানবিক ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে খেলাফত ব্যবস্থার বিকল্প নেই – আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আল্লাহর ভয়শূন্য মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট: মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আপনার ওপর কি যাকাত ফরজ? মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন ৩১৩ বীর মুজাহিদদের নাম- মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন বিয়ে করার পরীক্ষিত আমল- মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন ইসলামী শিক্ষাই পারে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে -মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী খেলাফত মজলিস আমিরের ইন্তেকালে এনএসবি পার্টির শোক

জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইমামদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

  • সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে


ইমাম হচ্ছেন সমাজের সবচেয়ে সম্মানী ও মর্যাদাশালী ব্যক্তি। ইমাম এবং ইমামতি বিষয়টা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মসজিদে নববিতে আখেরি নবি সাইয়্যেদুল মুরসালিন ইমামুল আম্বিয়া মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (স) আজীবন ইমামের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মসজিদে নববিকে তিনি শুধু নামাজের জন্য সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং সমাজ উন্নয়নের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি তা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। আমরা যদি প্রতিটি মসজিদকে নবিজির দেখানো সেই মসজিদে নববির রোল মডেল রূপে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের সমাজ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে, সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূর হবে, সমাজে ব্যাপকভাবে জনকল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

আজ ১৬ রমজান ১৮ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন সঞ্চালিত মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন- প্রথম আলোর ইসলামী পাতার লেখক মুফতি শাইখ উসমান গণী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী, জমিয়েতের নায়েবে আমীর মাওলানা শেখ মুজীবুর রহমান, জমিয়ত মহাসচিব ড. মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরাম, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আ ক ম আশরাফুল হক, ক্যারিয়ার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি আফজাল হুসাইন, ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, সবার খবর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার, মাদরাসাতুল মুনাওয়ারাহ ঢাকার প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমদ কাবীর, মুফতি ইসমাঈল, মুফতি সাইফুল্লাহ নোামানী, মুফতি আব্দুল্লাহ ইদরীস, মুফতি সলীমুল্লাহ খান, মুফতি আল আমিন, মুফতি আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, মুফতি জাকির বিল্লাহ, মাওলানা কামাল উদ্দীন নোমানী, মুফতি ওয়াসিফুর রহমান, মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মসজিদের কমিটি আর মুসল্লিরা মনে করেন অল্প বেতন দিয়ে ইমামকে ঠকিয়ে তারা জিতে যাচ্ছেন। আসলে তা নয় বরং ক্ষতি যা হওয়ার আপনাদেরই হচ্ছে। যিনি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য, জান্নাতের আশায় নামাজ পড়েন এ বিষয়টি তিনি কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান লাখ লাখ টাকা খরচ করে ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন করেন। কোনো সন্দেহ নেই এটা খুব ভালো কাজ। কথা হল, এক রাত ওয়াজের বিনিময়ে যদি একজন ওয়ায়েজকে লাখ লাখ টাকা দিতে পারেন, তাহলে যে ইমাম সারা বছরই আমাদের পাশে থাকেন, সুখে-দুঃখে যার কাছে গিয়ে দোয়া চাই, তাকে কেন সম্মানজনক কোনো বেতন দিতে পারছি না। তাকে যদি ভালো বেতন দিই তাহলে তিনি যেমন প্রশান্ত মনে নামাজ পড়াতে পারবেন তেমনি আমাদের নামাজও আরও বেশি কবুলিয়াতের যোগ্যতা অর্জন করবে। অনেক মুসল্লিই কাঁচুমাচু হয়ে হুজুরকে বলেন, হুজুর! আপনাকে যোগ্য সম্মানী দিতে পারছি ন। মনে কষ্ট নেবেন না। আরও নানা কথাবার্তা। আসলে এগুলো লোকদেখানো ছাড়া আর কিছুই না।


তারা আরো বলেন, মসজিদের ইমামদের সঠিক মূল্যায়ন করা হলে তেমনি উপযুক্ত প্রশিক্ষিত করে সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারায় তাদের সম্পৃক্ত করে নীতি-নৈতিকতার বিকাশ সাধন করা যেতে পারে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচন, মাদকাসক্তি নিরসন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মতো সামাজিক অপরাধ দমন, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের মতো জাতীয় আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের দ্বারা মানবাধিকার বাস্তবায়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জাতি গঠন এবং একটি আদর্শ সুশীল সমাজ বিনির্মাণে ইমামদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশা করা যায়।

সভাপতির ভাষণে মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, বাসাবাড়ির ভাড়া, যাতায়াত খরচ ও চিকিৎসা খরচসহ সবকিছুই ঊর্ধ্বমুখী। ধনী, গরিব, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সময়ে সময়ে বাড়ানো হয়। কিন্তু ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাসিক সম্মানি ভাতা যুগ-চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য। অনেকের ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতোও নয়। বিষয়টি বিবেচনার জন্য সব মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।

সেক্রেটারী মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন বলেন, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য বাসা ভাড়া বাবদ একটি মাসিক ভাতা চালু করা এবং মাসিক সম্মানী ভাতার পরিমাণ দুই ঈদের বোনাস দেওয়া, সমাজে সুবিধাবঞ্চিত, জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত ইমাম মুয়াজ্জিনদের পাশে দাঁড়ানো, মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং নীতিমালা অনুযায়ী ইমামকে পদাধিকার বলে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অথবা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে রাখা। এতে শরীয়তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো সিদ্ধান্তের ঘটনা ঘটবে না। এছাড়া দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কমপক্ষে ইমামের জন্য ফ্যামেলি কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।

ভাল লাগলে এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর
© sunnah24 2022 All rights reserved
Theme Customized By BreakingNews