হাফিযুল কুরআন,যোগ্য আলেম, বিজ্ঞ মুফতী, হকের বলিষ্ঠ কন্ঠ, মানবদরদী,সমাজসেবক, ইসলামী রাজনীতিবিদ, সাবেক সাংসদ, বহু মসজিদ-মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা,বাংলাদেশের এক সময়ের আন্দোলনের সিংহ পুরুষ, প্রভাবশালী কওমী আলেম,বীর মুজাহিদ, আল মারকাযুল ইসলামী বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা- চেয়ারম্যান।
ছোট্টবেলায় মুফতী শহিদুল ইসলাম এমপি নামটি খুব শুনতাম। তখন থেকেই এই নামের লোকটির প্রতি ভিন্ন রকম আযমত-আকিদত জন্ম হয়েছিল। বহুদিন যাবত ইচ্ছে ছিল – প্রিয় মানুষটিকে এক নজর দেখার। অবশেষে কিশোরগঞ্জ তরুণ আলেম প্রজন্ম কাফেলার কৃতজ্ঞতায় গতকাল এবং পরশু রাত (২১ আগষ্ট ২০০২২) মুফতী সাহেবের একেবারে কাছে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা জীবন-বৃত্তান্ত শুনার তাওফিক হয়েছে। সেদিন সামান্য খেদমত করতে পেরে নিজকে ধন্য মনে করছি। আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি দীর্ঘ সময় নিয়ে তার জীবনের শৈশব, কৈশোর, লেখা-পড়া,মারকায প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাসিমুখে স্মৃতিচারণ করেন। কথার ফাঁকে ফাঁকে কান্না এবং ইখলাসের সাথে সাহেবযাদার দ্বীনী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বারবার দুয়া কামনা আমাকে খুব মুগ্ধ করেছে।হযরতের সরলতা,ইখলাস এবং দ্বীনী বিষয়ে দৃঢ়তা আমাকে সবচে বেশি মুগ্ধ করেছে।
দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ে মুফতী সাহেব হুজুরের দৃঢ়তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।কেননা,তা এই যুগের আলেমদের মধ্যে বিরল। তিনি বলেন- আফগানের মুজাহিদীন ফটো উঠানোর ব্যাপারে খুব কঠোর। আমিও খুব কঠোর ছিলাম।
————————————–
তিনি ২০০২ সালে নড়াইল-২ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন’ নামে একটি দল গঠন করেন।
তাঁর কৃতজ্ঞতায় বাংলাদেশে আজ আরবী ভাষা সাহিত্যের বাজার গরম হয়ে উঠেছে। তিনি আল মারকাযুল ইসলামীর অধীনে আরবী সাহিত্য বিভাগ খোলে শায়খ শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী রহ: এর হাতে এর দায়িত্ব অর্পণ করেন।শায়খ শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী রহঃ এর অক্লান্ত পরিশ্রমের বদৌলতে শত শত যোগ্য আরবী সাহিত্যিকদের জন্ম হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ
মুফতী শহীদুল ইসলাম হাফিযাহুল্লাহ আল মারকাযুল ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে আরবী ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন।উন্নত মানের পত্রিকা সামান্য টাকার বিনিময়ে আরবী প্রেমিকদের মাঝে বিতরণ করতেন।
তিনি বিভিন্ন ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আরবী ভাষার বিভিন্ন কিতাব এনে বাংলাদেশের উলামা-তালাবার মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করতেন। মুফতী সাহেবের মেহনতে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত কিতাব অনেক সময় মুফতী আবদুর রহমান বসুন্ধরা রহ: এর পরিচালনাধীন আল মারকাযুল ইসলামীতে চলে যেত বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন তিনি।
আল মারকাযুল ইসলামী বাংলাদেশ এর তত্ত্বাবধানে আত তাখাছছুছ ফিল ফিকহ কোর্স চালু করেন।যা আজোও চালু রয়েছে।
তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিদের শিক্ষা-দিক্ষার লক্ষ্যে আফ্রিকা থেকে শিক্ষক এনে অন্ধ বিভাগ চালু করেন।যার মাধ্যমে শত শত অন্ধ মানুষ কুরআন এবং দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি মানবসেবার উদ্দেশ্যে বহু এম্বুলেন্স ক্রয় করেছেন। রাজধানী ঢাকায় যে কোন শীর্ষ আলেমের ইন্তিকাল হলেই আল মারকাযুল ইসলামীর এম্বুলেন্স এসে হাজির হয়ে যায়। তিনি আমাদের জানিয়েছেন- এম্বুলেন্সের প্রথম টাকা দিয়েছিলেন- তার আম্মাজান।
তিনি শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ: এর অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। চারদলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে ইসলামী ঐক্যজোটকে একটি মন্ত্রীত্বের পদ দিতে চাইলে শায়খুল হাদীস রহ: সে পদটি মুফতী শহীদুল ইসলাম হাফি: কে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। মুফতী মুফতী সাহেব সে মন্ত্রীত্বের পদ নিতে রাজি হননি। যখন শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. ঢাকা পল্টনের মুক্তাঙ্গনে স্বীকৃতির জন্য ডাক দিয়েছিলেন, তখন তিনি শাইখুল হাদীস রহ: এর ডান হাত ছিলেন। এমপি সাহেব সেদিন ভাষণ দিয়েছিলেন কবি নজরুলের সেই কবিতাটি দিয়ে-
বাজিছে দামামা, বাঁধরে আমামা
শির উঁচু করি মুসলমান,
দাওয়াত এসেছে নয়া জামানার,
ভাঙ্গা কিল্লায় উড়ে নিশান।
তখনকার সময়ে উলামা-তালাবার খানার ব্যবস্থা তিনিই করতেন।সে আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন- সে আন্দোলনে প্রথম দিনের প্রথম খাবার ব্যবস্থা করেছিল- আমার এক হিন্দু ভক্ত।
জন্মকাল:
মুফতি শহীদুল ইসলাম হাফি: ১৫ মার্চ ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের ঝিলটুলী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। তার পিতা শামসুল হক সরদার।
লেখাপড়া:
গোপালগঞ্জের গহরডাঙ্গা মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। গওহারডাঙ্গায় হিফজ পড়ে বাড়ি থেকে রাজী না হওয়ায় একাকী খালি হাতে মাদ্রাসায় পড়ার জন্য ঢাকায় এসে জামিয়া মুহাম্মদিয়া যাত্রাবাড়ীতে ভর্তি হোন। ডক্টর আসাদুল্লাহ গালিব এর কাছে “ফিকহে মুহাম্মদী” অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে লালবাগ মাদরাসা এবং কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় পড়ে পাকিস্তানের করাচীর বিন্নুরী টাউন মাদ্রাসায় ভর্তি হোন। সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জনের পর ইফতা (ইসলামি আইনশাস্ত্রের পাণ্ডিত্ত্ব) অর্জন করেন।
রাজনৈতিক দল :
তিনি ইসলামী ঐক্যজোট করতেন এবং মজলিসে শূরার সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (২০০১-২০০৯) করেছেন। মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০১১ সালের ২১ জুলাই দলটির নায়েবে আমিরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এ দলের চেয়ারম্যান।
সংসদ নির্বাচন:
চারদলীয় ঐক্যজোটের অধীনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে সাংসদ পদে নির্বাচনে করেন। তখন শেখ হাসিনা ৪ হাজার ২৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।এ নির্বাচনের পর তিনি সারা দেশে ব্যাপক প্রশিদ্ধি লাভ করেন। পরে শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে ২০০২ সালের উপনির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। মুফতি শহিদুল ইসলাম হাফিযাহুল্লাহ ২০১৮ সালে নড়াইল-২ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা নির্বাচন করেছেন। এদিকে একই আসনে ছেলে মুফতি তালহা ইসলামও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, যেন মুফতি শহিদুল ইসলাম হাফিযাহুল্লাহ যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়লে তার ছেলে তালহা এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে তা বাতিল করে দেয়।
মারকায প্রতিষ্ঠা:
★মারকাযুল ইসলামী★
মুফতি শহিদুল ইসলাম (এমপি) রহ. কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল মারকাজুল ইসলামী ঢাকাসহ দেশের আনাচে কানাচে পর্যন্ত প্রায় সব রকমের মানবসেবামূলক কাজ করে আসছে। হাসপাতাল, এম্বুলেন্স সার্ভিস থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে মানবসেবামূলক অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠান। বিশেষত করোনা দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণসহ করোনা আক্রান্তদের লাশ দাফন করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে এর অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবক টিম।
বিন্নুরী টাউন মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে ১৯৮৮ সালে তিনি আল মারকাজুল ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বা চেয়ারম্যান। বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের পরামর্শে এই সংস্থার প্রথম নামকরণ করেন- ‘মুসলিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ পরে বিন্নুরী টাউনের এক উস্তাযের পরামর্শে “আল মারকাযুল ইসলামী বাংলাদেশ” নাম রাখেন। পাকিস্তানে এ সংস্থার অর্থ জমা রাখতেন আল্লামা শায়খ আব্দুল মালেক হাফি এর কাছে।
আল মারকাজুল ইসলামি বাংলাদেশ একটি এনজিও বা বেসরকারি সাহায্যকারী সংস্থা।দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির অর্থ-সহযোগিতা বিশেষ করে সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় মারকাযের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
নব্বই দশকের শুরুতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মারকাজের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।বাবর রোড ও শ্যামলীতে সংস্থাটির নিজস্ব সম্পত্তি রয়েছে। বর্তমানে কেরানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজনগর ইউনিয়নে ১৬০ বিঘা জমির ওপর আল মারকাযুল ইসলামীর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস,টিউবওয়েল,ব্রিজ ,রাস্তাঘাট,ত্রান সামগ্রী এবং সকল স্তরের সহযোগিতা সেবা প্রদান করেন।
মুফতী সাহেব বলেছেন – ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় বাংলাদেশের প্রায় সব মাদ্রাসায় চাউল বিতরণ করেছিলেন।
মারকাজের অর্থায়নে দুর্গম গরীব অঞ্চলেও মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া দরিদ্র নারীদের বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের কাজও করা হয়েছে এই এনজিওর তত্বাবধানে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও-এর কার্যক্রম হিসেবে সবচে বেশি সহযোগিতা করেছে-আল মারকাযুল ইসলামী।
করোনাকালীন সময়ে সবচে বেশি মানসবেবা প্রদান করেছে আল মারকাযুল ইসলামী।করোনাকালীন সময়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফন করে সংস্থাটি দেশব্যাপী বেশ সুনাম কুঁড়িয়েছে।
গ্রেফতার:
হকের কণ্ঠ এবং মানবসেবা থামিয়ে দেওয়ার জন্য মুফতী সাহেবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দাড় করিয়ে বহু মামলা দায়ের করা হয়।ওয়ান-ইলেভেনের পর পরই জঙ্গী তৎপরতা ও এ অর্থের যোগানদাতার অপবাদ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নতাসহ বিভিন্ন অজুহাতে মুফতী সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুদক তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করে এবং একটি মামলায় তিনি ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন।
দুদকের মিথ্যা মামলায় তাকে ১০ বছর সাজা দেয় নিম্ন আদালত। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট সাজা বাতিল করে খালাস দেয়। এ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করে। সেপ্টেম্বর ২০১৫ শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
মাহফিল আয়োজন:
২০০৩ ও ২০০৪ সালের ১১ ও ১২ মার্চ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা লক্ষীপাশার মোল্লা মাঠে ইসলামী মহাসম্মেলনের আয়োজন করেন।এ মাহফিলে বিশ্বের ২২টি দেশের শীর্ষ উলামা মাশায়েখ অংশগ্রহণ করেছেন।
সন্তান :
দুই পুত্র ও চার কন্যার জনক তিনি। পুত্র দুইজন হলো- মুফতি তালহা ইসলাম এবং মাওলানা হামজা ইসলাম
হুজুরের ছোট সাহেবজাদা, মারকাজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মাওলানা হামজা ইসলাম অত্যন্ত আন্তরিক ও ভালোবাসার মানুষ।খুব উদার দিলের মানুষ। গতকাল সফরে তিনি খুব মিশে আমাদেকে দেশ-বিদেশের মজার মজার গল্প শুনিয়েছেন। রাতের বেলা এবং সকাল বেলায়ও সাধারণভাবে নিচে বসে আমাদের সাথে খানা খেয়েছেন। হাসিমুখে বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছেন। প্রতিটি কথায় নম্রতা-ভদ্রতা প্রকাশ পাচ্ছিল।জাযাহুমুল্লাহ
মুফতী তি শহিদুল ইসলাম (এমপি) রহ. রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন মিডল ইস্টে বসবাসরত ছিলেন। তবে কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছিলেন।
ইন্তিকাল:
২৭ জানুয়ারী, ২০২৩ ইং বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জুমার রাত বারোটার পর মানিকগঞ্জ মাদ্রাসা আবু হুরায়রায় ইন্তিকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে ক্ষমা করে দিন।তাঁর খেদমতগুলো কবুল করুন। আমীন।
…………………..
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সংবাদ প্রচার নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রেখে কাজ করছে একঝাঁক সংবাদকর্মী। সত্য-সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ যে কোন সংবাদ জানতে- জানাতে নিয়মিত লগইন করুন Sunnah24.com
আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ যে কোন সংবাদ প্রচারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
শুভেচ্ছান্তে-
আ ফ ম আকরাম হুসাইন
সম্পাদক, সুন্নাহ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Leave a Reply